স্টাফ রিপোর্টার, বাঘারপাড়া(যশোর): যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় ভুল চিকিৎসায় শাপলা ইয়াসমিন নামের এক প্রসুতির মত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শাপলা ইয়াসমিন বাঘারপাড়া পৌরসভার মিরপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে। উপজেলা সদরের খাজাবাবা ক্লিনিকে গতকাল দুপরের পর এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে এখনও মামলা হয়নি।
জানা গেছে, শাপলা ইয়াসমিন প্রসুতি হওয়ার পর থেকেই বাবার বাড়ি থেকে চিকিৎসা নিয়ে আসছিলেন। এদিন তার প্রথম সন্তান হওয়ার প্রসব বেদনা উঠলে খাজাবাবা ক্লিনিকে ভর্তি হয়। এসময় ডাক্তার শতাব্দী বিশ্বাস কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা (আলট্রাসনাগ্রাম, ব্লাড প্রেসার বা ডায়াবটিকস ) ছাড়াই অপারেশন থিয়টারে নিয়ে যান প্রসুতিকে। এসময় বাইরে থেকে প্রসুতির প্রচন্ড চিৎকারের শব্দ শুনত পারন স্থানীয়রা। এর কিছুক্ষণ পর ডাক্তার জানান, প্রসুতি মারা গেছেন তবে কন্যা শিশু সুস্থ আছে। মৃত্যুর কিছুক্ষণ পর প্রসুতির স্বজনরা ক্লিনিকটিতে তালা ঝুলিয় দেয়।
মৃত প্রসুতির চাচা ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বায়জিদ হোসেন জানান, এই ক্লিনিক কোন অবস করার ডাক্তার নেই। অবস ছাড়াই কাটাছেড়া করার কারনে আমার ভাইজি মারা গেছে।
অপরশনের সময় ক্লিনিক মালিক নূর হাসান লাল্টু উপস্থিত ছিলেন। এ বক্তব্যের সময় তিনি হত্যা ঘটনার সঠিক বিচার দাবী করেন।
বাঘারপাড়া হাসপাতালর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা অরুপ জ্যোতি ঘোষ বলেন, আমি ঘটনা শুনছি এবং যশোর সিভিল সার্জন অফিসে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এখন উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, বাঘারপাড়ার খাজাবাবা ক্লিনিক এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় ইতিপূর্বে সিলগালা করা হয়েছিলা। সম্প্রতি তারা নতুন লাইসন্স নিয়েছে। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।